আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ পা থেকে ১১০ দিন পরে বের করা হলো বু্লেট
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
অবশেষে বেসরকারি উদ্যোগে অপারেশনের মাধ্যমে ১১০ দিন পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ভিক্ষুক আয়েশা বেগমের (৭৬) বাম পা থেকে গুলি বের করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে জেলা শহরের মানিকপুর এলাকায় সিটি হেলথ কেয়ার অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে গুলিবিদ্ধ সেই নারীর পায়ে সফল অস্ত্রোপচার করেন ডা. এম এ মালেক মুরাদ।
এ সময় তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ নারীর পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছেন না এমন খবর পেয়ে আমি নিজেই বিনামূল্যে তার পা থেকে গুলি বের করার সিদ্ধান্ত নেই। ১৫ মিনিটের প্রচেষ্টায় তার পা থেকে গুলি বের করতে সফল হই। বর্তমানে তিনি সুস্থ ও আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে মানিকপুর এলাকায় বা পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ভিক্ষুক আয়েশা বেগম (৭৬)।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা অবহেলায় সেসময় বিষয়টি ধরা না পড়লেও ঘটনার ৩ মাস পর গত ১৭ নভেম্বর এক্স-রে পরীক্ষায় দেখা যায় ওই নারীর পায়ে বুলেট রয়ে গেছে।
পরদিন ১৮ নভেম্বর দুই যুবক ওই নারীকে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবে নিয়ে আসলে সাংবাদিকরা তাকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠান। সেখানে তার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আহতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। এরপর দুদিন পেরিয়ে গেলেও চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তারা।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারীর চিকিৎসার বিষয়টি জানতে চাইলে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জসীমউদ্দীন ভূঁইয়া জানান, ওই নারীর চিকিৎসার ব্যবস্থা সিভিল সার্জন কার্যালয় করতে পারবে না। তার নিজেরই নিজের চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য সে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে যেতে পারে, অথবা ঢাকায় যোগাযোগ করতে পারে।
ভিক্ষুক আয়েশা তার পা থেকে গুলি বের হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমার ভাই-স্বজন, স্বামী-সন্তান কেউ নেই। পায়ে গুলি নিয়া সরকারি অফিসে অফিসে ঘুরলাম। ভিক্ষুক বলে কেউ আমারে গুরুত্বই দিল না। শেষে সাংবাদিকরা এক ডাক্তারের কাছে নিয়া গুলি বের করে দিল। আমি মরণের আগ পর্যন্ত দোয়া করমু এই ডাক্তার আর সাংবাদিকগো লেইগা।
আয়েশা বেগমের স্বামী ও সন্তান কেউ-ই নেই। বাড়ি চাঁদপুরে। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে স্বামী লতিফ সরদারের মৃত্যুর পর প্রায় এক যুগ আগে মুন্সিগঞ্জ শহরে চলে আসেন তিনি। বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। স্বামী-সন্তান ছাড়া বয়সের ভারে ন্যুব্জ আয়েশা বেগমকে এতদিন পায়ে বুলেট নিয়েই ভিক্ষা করতে হয়েছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ